Header Ads

Header ADS

শিয়ালের কাছে মুরগি রেখে এসে আপনি কি করে নিরাপদবোধ করতে পারেন?

আমানত। ইসলাম ও ঈমানের অন্যতম একটি বিষয়। যখন আমরা নিজেকে মুসলিম বলে ঘোষণা করি তখন মুসলিম হিসেবে ইসলামের ‍যতগুলো বিষয় মান্য করা আমাদের জন্য আবশ্যক হয়ে পরে, আমানতের সংরক্ষণ তার মাঝে অন্যতম। শুধু মুসলিম হিসেবেই নয়, একজন সত্যিকারের মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রত্যেকেরই উচিৎ এই বৈশিষ্টটি নিজের মাঝে ধারণ করা। হোক সে যে কোন ধর্মের অনুসারী। কারণ, আমরা জানি, বিশ্বাস হচ্ছে মানুষের অমূল্য সম্পদ, যা কোন প্রকার অর্থ দিয়ে ক্রয়-বিক্রয় করা যায় না। যার মাঝে বিশ্বাস যোগ্যতা নেই, সমাজে বিশ্বাসের দিক থেকে তার কোন সম্মান নেই। কোন ব্যক্তি যদি একবার  কারো কাছে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, তবে তা আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়না। আমাদের আশে পাশে একটু ভালভাবে খেয়াল করলেই দেখবে পাব, কিছু মানুষ আছে, যারা নিজের সম্মান আর বিশ্বাসযোগ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে কতোই না প্রচেষ্টা করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই তাদেরকে ভালবাসি। তাদের দ্বারা মানুষ কখনো ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। সমাজের খারাপ মানুষগুলোও তাদেরকে ভাল বলে স্বীকৃতি দেয়। যদিও সেই খারাপ মানুষগুলো জানে যে, ঐ সব ভাল মানুষেরা তাদের নিজেদের সততার কারণে বারবার তাদের কাছে প্রতারিত হয়।

আমানতের সংরক্ষণ মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ট মহামানব মোহাম্মাদ (সঃ) এর বাণী অনুযায়ী আমরা জানতে পারি যে, মুনাফিকের আলামত তিনটি।যার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে আমানতের খেয়ানত করা। তার মানে কোন ব্যক্তির মাঝে যদি ঐ তিনটি বৈশিষ্ট থাকে, হাদীসে বাণী অনুযায়ী তিনি মুনাফিক। কোন মুসলমান যদি ঐ তিনটি বৈশিষ্টের একটি নিজের মাঝে ধারণ করে, তবে সে পূর্ণ মুসলিম হতে পারেনি। তার মাঝে মুনাফিকের চিহ্ন রয়েই গেছে। এই ধরনের কোন ‍মুনাফিক ব্যক্তির নিকট যদি কোন অর্থ বা মূল্যবান কোন সম্পদ গচ্ছিত রাখেন, তবে আপনি এতোটুকু মাথায় রাখতে পারেন যে, আপনি আপনার রাখা গচ্ছিত সম্পদটি সম্পূর্ণরুপে নাও পেতে পারেন। কিংবা তা পুরোটাই নাও পেতে পারেন। বাট আপনি যদি কোন বিশ্বস্ত ব্যক্তির নিকট গচ্ছিত রাখতেন, তবে অবশ্যই আপনি আপনার সম্পদটি ফেরত পেতেন। এই যে একজনের প্রতি আরেকজনের বিশ্বাস, এটাই হচ্ছে আমাদের দুনিয়ার জীবনের ব্যক্তি সম্পর্কের মূল ভিত্তি। এই ভিত্তিটাই যখন নড়েবড়ে হয়ে যায়, তখন কি আমাদের মাঝে মানুষে মানুষে উত্তম সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব? কখনোই নয়। তখন মানুষে মানুষে বিবাদ তৈরী হয় শত্রুতার সৃষ্টি হয়, বিশৃংখলার সুষ্টি হয়। পৃথিবী ব্যাপি অশান্তির সৃষ্টি হবে। কারণটা হচ্ছে, আমানত বা বিশ্বাসটা যেমন ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন, পরিবার থেকে পরিবার, সমাজ থেকে সমাজ, দেশে থেকে দেশ পর্যায়েও।

আমানতটা আসলে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? আমরা কি কখনো একটিবারের জন্যও ভেবে দেখেছি? আমরা জানি বা না জানি, মানবজীবনের প্রতিটা পর্যায়ে আমানতের বিশাল ভূমিকা আছে। আমরা একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবার চেষ্টা করি.......।

আমি এই লেখাটিতে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরব, যা আপনাদের চিন্তা আর দর্শনবিদ্যাকে বিস্তৃত ও দৃঢ় করতে সহায়ক হবে। আমি বা আপনি যে সমাজে বসবাস করি, বা যে স্থানে বসবাস করি, সেখানে আশে পাশে কিছু না কিছু বিশ্বস্ত মানুষ থাকার প্রয়োজন আছে। যাদেরকে বিশ্বাস করে আমি আমার সকল প্রকার সম্পদের ক্ষেত্রে নিরাপদ অনুভব করি। যদি বিশ্বাস করার মতো এই মানুষগুলো সমাজে না থাকে তবে আমরা কখনোই পরস্পর পরস্পরের প্রতি আস্থাভাজন হতে পারবনা।

দৈনন্দিন জীবনে আমরা যেসব সামগ্রী ব্যবহার করি আর সে সব সামগ্রী আমাদের প্রয়োজনীয়, সেগুলোকে আমরা দুভাবে উল্লেখ করতে পারি। প্রথমত-সম্পদ আর দ্বিতীয়ত-সম্পত্তি। আপনার কাছে দুইটাকে একই মনে হচ্ছে তাই না? আপনার কাছে আসলে দুইটাকে একই মনে হলেও আমার কাছে দুইটার মাঝে একটি মৌলিক পার্থক্য আছে। আমি বলে দিচ্ছি, একটু খেয়াল করুন, আমরা যে প্রয়োজনীয় সমাগ্রী ব্যবহার করি, তার মাঝে  অল্প কিছু সামগ্রী আছে, যা আমার একবার থেকে দুবার মাত্র ব্যবহার করি।এক থেকে দুবার ব্যবহার করলেই তা নিঃশেষ হয়ে যায়। এগুলোকে আমি সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত করি। আমাদেরকে এইটাও বুঝতে হবে যে সম্পত্তি থেকে কেবলই উপকার গ্রহণ করা যায় কিন্তু সেগুলোর প্রতি যত্ন নিতে হয়না। রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় না। আর বাকি সব ধরনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী, যেগুলোকে বারবার ব্যবহার করা যায়, এগুলোকে আমি সম্পদ হিসেবে গন্য করি। সম্পদের মূল বৈশিষ্টটি হচ্ছে,  এসব সামগ্রীকে যেমন বারবার ব্যবহার করা যায়, তেমনি সেগুলোকে সেবা যত্নও করতে হয়। তাও যেন তেন ভাবে নয়, মনের মাধুরী মিশিয়ে সর্বোচ্চ সেবা যত্ন করতে হয়। এমন অস্ংখ্য সম্পদকে ঘিরে আপনার আমার দুনিয়ার সংসার।জামা-কাপর, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, স্থাবর সম্পত্তি, বাড়ির আসবাব পত্র, দৈনন্দিন জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, যা আমরা দিনের পর দিন ব্যবহার করে যাচ্ছি।

পরিবার থেকে পরিবারের কিছু কথা বলি। আপনার আমার পরিবারে প্রতিটা সদস্যদের প্রতি অন্যান্য সদস্যদের কিছু আমানতের বিষয় আছে। যা আমাদের কাছে খুব সাধারণ বিষয় মনে হলেও আসলে সাধারণ কিছু নয়। কারো আমানতের বিষয় নিয়ে কেউ কোন কথা বলুক বা না বলুক, তা অবশ্যই সিরিয়াস কোন বিষয়। একটু মন দিয়ে চিন্তা করলেই আমরা বুঝতে পারব যে, এই ছোট খাট বিষয়গুলি কারো মনে কোন প্রকার কষ্ট তৈরী করছে কি না? পরস্পরের মাঝে কোন প্রকার মনোমানিল্য তৈরী করছে কি না? এই ছোট ছোট কষ্ট বা দ্বন্দ্বই পরবর্তীতে বড় কোন সমস্যা তৈরী করছে কি না? একটু ভাবুন। নিরবে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন।

আমরা নিজেরা নিজেদেরকে কেবল একজন মানুষই তো মনে করি, তাই না? আমরা কি এর বেশি কিছু না? একটু ভেবে দেখলে কি কোন উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে? আপনি উত্তর পাবেন কি না জানিনা। তবে আমার কাছে অনেকগুলো উত্তর আছে। ধরুণ আপনার বয়স ২০ (বিশ) থেকে ৫০ (পঞ্চাশ) এর মধ্যে। এই বয়সে আপনি হয়তে বিয়েও করেছেন। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ায় আপনি হয়তো সন্তানের বাবাও হয়েছেন। এবার খেয়াল করুণ তো, আপনার মাঝে আপনি শুধু একজন মানুষ ব্যতীত অন্য কোন পরিচয় খুঁজে পান কি না? আমি বলছি, উত্তরগুলো হবে এমন, আপনি কারো সন্তান, আপনি কারো বাবা। আপনি কারো ভাই আবার আপনি কারো স্বামী। আপনি কি শুধুই নিজের? না, আপনি নিজেই ‍শুধু আপনার নিজের না। আপনি অন্যেরও। এই ক্ষেত্রে আপনি নিজেই নিজের কাছে অন্যের আমানত। এবার একটু ভেবে দেখুন তো, আপনি যাদের সাথে বিভিন্ন সম্পর্কে সম্পর্কিত, তাদের আমানতগুলি আপনি ঠিক রাখতেছেন তো? তাদের অধিকারগুলি আপনি ঠিকঠাক আদায় করছেন তো? আমরা নিজেরা হয়তো ভুলক্রমে নিজেকে সস্তা মনে করি। আসলে আমরা এতোটা সস্তা নই। বরং আমরা কারো না কারো অমুল্য সম্পদ, যা আমরা কখনো ভাবিই না।

শুধু বস্তুগত কোন সম্পদের ক্ষতি সাধন করার অর্থই এই নয় যে, আপনি কারো আমানতের খেয়ানত করছেন। বরং হতে পারে সে সম্পদ অবস্তুগত। আপনি যেমন অনেকের কাছে অমুল্য সম্পদ, তেমনি আপনি নিজেই নিজের কাছে তাদের রাখা বড় আমানত। একটু খেয়াল করে দেখুন, আপনি বিয়ে করেছেন। ব্যবসা বা চাকরির সুবাদে আপনাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হচ্ছে। আপনি যদি একজন সুস্থ পুরুষ হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই আপনার স্ত্রীর প্রয়োজন হবে। পরিস্থিতির খাতিরে মেনে নিলাম আপনি ধর্মভীরু। তাই আপনি আপনার সম্মান আর লজ্জার হেফাজত করছেন। কিন্তু যখন আপনি নিজেকে হেফাজত করতে ব্যর্থ হবেন, তখন কি অবস্থা দাঁড়াবে? আপনি কি পারবেন আপনার স্ত্রীর রাখা আমানত আপনার ইজ্জত, আপনার ভালবাসা, আপনার আচরণকে নিজ স্ত্রীর জন্য হেফাজত করতে? নিজের অজান্তে কোন নারীর প্রতি এমনভাবে তাকান নি তো, ঠিক যেভাবে আপনার স্ত্রীর দিকে তাকাতেন? এমন করে কথা বলেন নি তো, ঠিক যেভাবে আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে কথা বলতেন? এমনভাবে খুনসুটি করেন নি তো, যে খুঁনসুটি কেবল আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে করতে পারতেন? যদি করে থাকেন তবে অবশ্যই আপনি আপনার স্ত্রীর আমানতের খেয়ানত করেছেন।

আমার এই লেখাটির শিরোনাম ছিল এমন “শিয়ালের কাছে মুরগি রেখে এসে আপনি কি করে নিরাপদবোধ করতে পারেন?” এই প্রসঙ্গে আমি এখন কিছু কথা বলব। তাহলে বুঝতে পারবেন, আমি কেন আমানতের প্রসঙ্গটি প্রথমে সামনে নিয়ে আসছি। পৃথিবীতে মানুষকে দুটি ক্যাটাগরিতে পাঠানো হয়েছে। যাদের একটি হচ্ছে নারী আর অন্যটি হচ্ছে পুরুষ। বাস্তব জীবনে একজন নারী একজন পুরুষকে ঠিক যতটা সন্দেহ করে, একজন পুরুষ একজন নারীকে তার চেয়ে অনেক বেশি সন্দেহ করে। আপনার কাছে হয়তো অবাক লাগছে, এটা আবার কেমন কথা? আমি ব্যাপারটাকে একটু সহজ করে দিতে চাই। আপনার সমাজে আপনি এখন কোন বয়সের? যুবক নাকি মধ্য বয়স্ক নাকি বয়স্ক? বয়স ভেদে আপনার কাছে উত্তরের পার্থক্য হতে পারে। একজন ‍যুবকের কাছে পাওয়া উত্তর কখনো একজন বয়স্কের পা্ওয়া উত্তরের সাতে মিলবেনা। একজন ছেলে জানে, তার বন্ধু কেমন ছেলে। আর কোথায় কি করে। কিন্তু একজন বয়স্ক কি করে এসব জানবে? যুবকরা কি বয়স্ক মানুষটির বন্ধু? একটা ছেলে আরেকটা ছেলেকে দেখলে বলে দোস্ত কেমন আছিস? কিন্তু যখন কোন বয়স্ক ব্যক্তির সামনে আসবে তখন সালাম দিয়ে বলবে, দাদু কেমন আছো? কি করে সম্ভব একজন যুবকের ভিতরটাকে একজন বয়স্ক ব্যক্তির পক্ষে জানা? ঠিক তেমনি মাঝ বয়সের ব্যক্তিরাও যুবকদের সম্পর্কে সঠিকটা জানতে পারেনা। 

আপনি যখন আপনার প্রিয় সহধর্মীনিকে বাড়িতে রেখে ব্যবসায়িক স্বার্থে বা চাকরির সুবাদে বাইরে থাকছেন। একদিন না কিংবা দুদিন না। হয়তোবা এক মাস বা মাসের পরে মাস। আপনি কি কখনো মন থেকে ভেবে দেখেছেন যে আপনার সহধর্মীনি আপনার জন্য কতটা মানসিক কষ্ট সয়ে যাচ্ছে? তর্কের খাতিরে মানছি আপনার স্ত্রী সতী-সাধবি। তাই বলে আপনি তাকে কষ্ট দিবেন? এটাও মানছি যে, আপনার জন্য সে সব কষ্ট সইতে রাজী। তার কাছে হয়তো দুনিয়ার জীবনটা নগন্য। তাই সে দুনিয়ার জীবনের সকল কষ্টের বিনিময়ে আখেরাতের কল্যাণ পেতে চান। এ ক্ষেত্রে আমার কোন প্রকার আপত্তি নেই। কিন্তু আপনি কি জানেন, স্বামীহীন নারী সমাজে এখন ঢাকনাবিহীন মধুর হাড়ির ন্যায়? আমাদের মানব সমাজের মানুষগুলোর মন এখন ক্রমেই এতোটা কলুষিত হয়ে যাচ্ছে যে, ঢাকনা বিহীন মধুর হাড়ির সুঘ্রানে যেমন মাছি আর মৌমাছিরা হাড়ির উপর হামলে পরে, স্বামীহীন নারীর সন্ধান পেলেও তেমনি েএখনকার নষ্ট মনের পুরুষেরা হামলে পরে। মধুর হাড়ি খোলা রেখে যেমন আপনি মাছি আর মৌমাছিদের দোষ দিতে পারেন না। হাড়ি খোলা রেখে তেমনি তাদের প্রতিহতও করতে পারবেন না্। আপনি বরং তিন-থেকে চারটা মৌমাছিকে আঘাত করে দেখেন, কিছুক্ষণের মধ্যে আপনাকে তাড়াতে তাদের পুরো দল চলে আসবে। ব্যাপারটা ঠিক এমনই আপনার আমার স্ত্রীর ক্ষেত্রেও।



  আমি বুঝাতে চাচ্ছি যে, পরস্পরের সম্মন পরস্পরের নিকট বড় আমানত। আমরা শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ হিসেবে কাউকে অহেতুক অপমান করা থেকে বিরত থাকবো। আমরা নিজেরা যেমন অন্যকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিব, তেমনি নিজেরাও সম্মানিত হবো্। অন্যকে সম্মান করলে নিজের সম্মান কমে না, বরং বাড়ে।

কথা হচ্ছিল আমানতের গুরুত্ব নিয়ে। আমি আমানতকে এতোটা গুরুত্ব দিয়ে বলছি একটি মাত্র কারণে। আমি ইতিপূর্বে আমানতের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছি। আসলে আমাদের মাঝে আরেকটি বিষয় আছে, যা আমানতের দিক থেকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাওয়ার অধিকারী। তা হচ্ছে আপনার আমার সম্মান। কারো থেকে কোন প্রকার অপমান যে কতটা খারাপ লাগার বিষয়, তা কেবল তিনিই জানেন, যিনি কোথাও গিয়ে অন্য কোন মানুষের কাছে বিনা কারণে সম্পুর্ণ অযৌক্তিকভাবে অপমানের স্বীকার হন। এমন পরিস্থিতিতে দেখবেন, অপমান সইতে না পেরে কেউ আত্মহত্যা করে, কেউ বা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে। ফলাফল স্বরুপ কোন পরিবার তার আপনজনকে হারায়, আবার কোন পরিবার তাকে নিয়ে পরে যায় অশান্তিতে। শুরু হয় দ্বন্দ্ব। সূচনা হয় বিশৃংখলার।

No comments

Theme images by Lingbeek. Powered by Blogger.